নারীদের ওপর হামলাকারীরা গ্রেফতার না হলে বৃহত্তর আন্দোলন : মোবারক হোসাইন

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসামি গ্রেফতারের দাবিতে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্থান

মহেশপুর

Maheshpur
মহেশপুরে মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মোবারক হোসাইন | নয়া দিগন্ত

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেছেন, জামায়াতের মহিলা কর্মীদের আলোচনা সভায় হামলা ও শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়েছে। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসামি গ্রেফতারের দাবিতে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি নেতাকর্মীদের ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিত মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

মহেশপুর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ফারুক আহম্মেদের সভাপত্বিতে মহিলা সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ডা: আলমগীর বিশ্বাস, ঝিনাইদহ জেলা আমির আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকর, সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, জেলার সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হাই, সাবেক নাটিমা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিক আহম্মেদ মাস্টার, মহেশপুর উপজেলা সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন পলাশ, মহেশপুর পৌর আমির লুৎফর রহমান প্রমুখ।

এদিকে একই দিন ভোরে হামলার ঘটনার ৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভৈরবা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।

মহেশপুর থানার ওসি ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানান, এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গত রোববার সকালে উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের কুল্লোপাড়ায় জামায়াতের নারী কর্মীদের আলোচনা সভায় কাঁচি ও বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াত নেতারা।

এ ঘটনায় ওইদিনই জামায়াতকর্মী হাসিনা খাতুন পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ও পরের দিন বেলা ৩টায় ভৈরবা বাজারে প্রতিবাদ সভা করে মহেশখালী জামায়াত।