ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে ৫ বছরের মধ্যে দেশ বস্তিমুক্ত হবে : সেলিম উদ্দিন

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল ৪টায় লালমাটিয়া বাজার, সাততলা ভাঙ্গাওয়াল, মহাখালী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

স্থান

ঢাকা মহানগরী

BJI
মহাখালীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন | নয়া দিগন্ত

জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতি, ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দলমত, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল ৪টায় লালমাটিয়া বাজার, সাততলা ভাঙ্গাওয়াল, মহাখালী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং দুর্গতদের সাথে একান্তে কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সমস্যা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি ইয়াছিন আরাফাত, বনানী থানা আমির মিজানুর রহমান খান, সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ রাফি প্রমূখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না থাকায় ধনীদের অর্থবিত্ত অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে এবং দরিদ্ররা হচ্ছেন আরো দরিদ্রতর। ফলে কেউ সাত তলায় বসবাস করছেন, আবার কেউ গাছতলায় বা বস্তিতে। মূলত, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষে মানুষে এমন বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। অথচ দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে মানুষে মানুষে এ বৈষম্য থাকবে না বরং দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে ৫ বছরের মধ্যে দেশ বস্তিমুক্ত হবে ইনশাল্লাহ। জামায়াতে ইসলামী দেশ শাসনের সুযোগ পেলে আমরা আপনাদের সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, মানসম্পন্ন বাসস্থান সুব্যবস্থা করবো। গড়ে তুলবো এখন সুখী-সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ। তিনি সে স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

তিনি বলেন, জনগণ আগামী দিনে জামায়াতকে সম্ভবনাময় শক্তি হিসাবে বিবেচনা করছে। জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে আমরা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত কবরো। যেখানে রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার বিশেষ করে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সহ জনগণের সকল সমস্যার সমাধান করবে। দেশে কোনো দুর্নীতি, অনিয়ম, টেন্ডারবাজী, ছিনতাই ও ধর্ষণসহ কোনো অপরাধের প্রশ্রয় দেয়া হবে না। মূলত, অতীতের শাসকরা দুর্নীতিকে লালন করেছে। ফলে দেশে সুশাসন আসেনি। আসলে ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি লালন করতে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দেশ ও জাতির মু্ক্তি মিলবে। জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী তিনটি মন্ত্রণালয় স্বচ্ছভাবে চালিয়ে তা প্রমাণ করে গেছেন। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় নতুন প্রত্যয় গ্রহণের মাধ্যমে সকলকে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

মহানগরী আমির বলেন, জামায়াত একটি কল্যাণকামী, গণমুখী ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশ ও জাতির যেকোন ক্রান্তিকালে জামায়াত জনগণের পাশে থাকার সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। সে ধারাবাহিকতায় আজ আমরা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সমবেদনা জানানোর জন্য এগিয়ে এসেছি। জনগণের সকল সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা আমাদের সাধ্যমত দুর্গত মানুষের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের দুর্দশা লাঘবে সরকার, সমাজের সক্ষম ব্যক্তি ও বিত্তবানদের মুক্ত হস্তে এগিয়ে আসার আহবান জানান।