কেউ হুমকি দিলে বিএনপি কি চুপ থাকবে, প্রশ্ন টুকুর

‘প্রত্যেকটা জিনিসের একটা ম্যাচুরিটি লাগে’ এমন মন্তব্য করে টুকু বলেন, ‘উনারা (ছাত্ররা) নতুন রাজনৈতিক দল করেছেন, আমরা জিয়াউর রহমানের দল করি। শহীদ জিয়া সবসময় বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করেছেন। একজন জেনারেল কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে

অনলাইন প্রতিবেদক
কেউ হুমকি দিলে বিএনপি কি চুপ থাকবে, প্রশ্ন টুকুর
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু | নয়া দিগন্ত

ছাত্রদের নতুন দল যদি হুমকি-ধামকি দেয় তাহলে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে কিনা- এমন প্রশ্ন রেখেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

শনিবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দল করে যদি হুমকি দাও, যে এটা না হলে ওটা হবে না, ওটা না হলে, এটা হবে না। তাহলে আমরা যে এতদিন দল করে, এতবড় একটা দল তৈরি করছি, তাহলে কি আমরা চুপ করে বসে থাকব?’

‘প্রত্যেকটা জিনিসের একটা ম্যাচুরিটি লাগে’ এমন মন্তব্য করে টুকু বলেন, ‘উনারা (ছাত্ররা) নতুন রাজনৈতিক দল করেছেন, আমরা জিয়াউর রহমানের দল করি। শহীদ জিয়া সবসময় বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করেছেন। একজন জেনারেল কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সব চাইতে গণতান্ত্রিক চেহারা দেখিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের মতো দলকেও উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসবে, নির্বাচনও হতে হবে। জনগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাই মিলে এ আন্দোলনকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি।’

ভারতের অঙ্গরাজ্য আসামের ছাত্রদের ইতিহাস ও প্রসঙ্গ তুলে ধরে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আসামে ছাত্রদের দ্বারা গঠিত সরকার বেশিদিন টিকতে পারেনি। ভারতের আসামে একবার কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তখন আসামের ছাত্ররা আন্দোলন করে সেখানকার সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। পরে আসাম অধিকার পরিষদ নামে একটি ছাত্র পরিষদ করেছিল। তারা নির্বাচন করে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছিল। ক্ষমতায় গিয়েছিল কিন্তু তারা সরকার বেশিদিন চালাতে পারেনি। নয় মাস কি এক বছর হয়েছিল সেই সরকারের বয়স। পরে পতন হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমি খুব আতঙ্কিত হই। যে এদেশে মানুষ আমরা, আমাদের যে মাটি সংস্কৃতি আছে, সেটার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি আমরা। জিয়াউর রহমান সাহেব যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, পহেলা বৈশাখের মধ্যরাতে উনি রমনা বটমূলে গেছেন, উদযাপন করেছেন। কেননা, এটা আমাদের মাটি থেকেও উঠে এসেছে।’

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে যেমন রীতি আছে। সেসব পালন করা তার সাথে ধর্মের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। প্রত্যেকটি দেশের নাগরিক তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। এ জিনিসগুলোকে বন্ধ করার যে অপচেষ্টা চলছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা, ঘোলা পানি তৈরি করা।’

‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, ‘আমারা বিএনপি পরিবার’র উপদেষ্টা মো: আবুল কাশেম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বিষয়সমূহ