নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান ‘আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
‘আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে মিরপুর ১৩, কাফরুল ৪নং কমিউনিটি সেন্টারে কাফরুল উত্তর জামায়াত আয়োজিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জামায়াত কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত করার দীর্ঘ পরিসরে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
থানা আমির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ, শূরা সদস্য আব্দুল মতিন খান ও আহসান হাবিব, থানা নায়েবে আমির আলাউদ্দিন প্রমূখ।
জামায়াত আমির বলেন, ‘রোজা একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রমযান মাসের মর্যাদা সম্পর্কে কালামে হাকিমে বলা হয়েছে, রমযান মাস এমন এক মহিমান্বিত মাস যে মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে। যা মানবজাতির জন্য হেদায়াত ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। মূলত, ইসলামই মানবজীবনের সকল সমস্যার সমাধান দিয়েছে। অন্য মতবাদে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট। মূলত, আল্লাহ তা’য়ালা দ্বীনকে পূর্ণ করে দিয়েছেন এবং নেয়ামত হিসেবে ইসলামকে আমাদের জন্য জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করেছেন। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের যথাযথ অনুসরণ করতে হবে।’
এসময় তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশ কখনো জাতীয়তাবাদ, কখনো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, আবার কখনো সমাজতান্ত্রিক আদর্শের মাধ্যমে শাসিত হয়েছে। মূলত, কুরআন দিয়ে দেশ শাসন না হওয়ার কারণে দেশে ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। বস্তুত দেশকে অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত করতে হলে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। জীবনের সকল ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অনুসরণ করতে হবে। অন্যথায় আমাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশে এমন লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে হবে যারা আল্লাহকে ভয় পান। সে বৈশিষ্ট্যের লোক তৈরির জন্যই আল্লাহ আমাদেরকে রমযানের মত নিয়ামত দান করেছেন। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির জন্য আমাদের সবাইকে ইসলামের ছায়াতলেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
‘রমযানের শিক্ষা’ বাস্তবে জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিশেষ অতিথি আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ‘রমযান আমাদেরকে পরিশুদ্ধ হওয়ার জন্য দান করা হয়েছে। তাই এ মাসে সিয়াম-কিয়ামসহ বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে নিজেদের নাজাতের পথ তৈরি করতে হবে।’