মির্জা আব্বাস
হাসিনার সম্মেলনে কোন কোন ব্যবসায়ী ছিলেন তা প্রকাশের দাবি
মির্জা আব্বাস বলেন, এসব ব্যবসায়ীদের অনেকের নামে হত্যামামলা থাকলেও কেন তারা গ্রেফতার হচ্ছেন না। শুধু ব্যবসায়ী নয়, সচিবালয়ে খবর নেন। সেখানে আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো অবস্থান নিয়ে আছেন। তাদের অনেকেই এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করার চেষ্টা করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গত ১৭ বছরে অবৈধভাবে যেসব ব্যবসায়ীরা টাকা কামিয়েছেন তারা দেশ ধ্বংস করতেই সেই টাকা খরচ করছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সফলতার শেষ মুহূর্তে গত বছরের ৩ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাথে ব্যবসায়ী সম্মেলনে কোন কোন ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে একটি রেস্টুরেন্টে গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, এসব ব্যবসায়ীদের অনেকের নামে হত্যামামলা থাকলেও কেন তারা গ্রেফতার হচ্ছেন না। শুধু ব্যবসায়ী নয়, সচিবালয়ে খবর নেন। সেখানে আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো অবস্থান নিয়ে আছেন। তাদের অনেকেই এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অবদানকে খাটো করে দেখার সুযোগ নাই। সংবাদিকবিহীন কোনো জাতি-রাষ্ট্র আছে বলে আমি মনে করি না। সাংবাদিকবিহীন কোনো রাষ্ট্র যদি থাকে অবশ্যই সেটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অবশ্যই স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য একটি প্লাটফর্ম থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আমরা যেন নতুন বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে নতুন করে কোনো ভুল না করি। ছাত্র এবং পাশাপাশি জনতার যে অভ্যুত্থান সেটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঠিক রেখেই আমাদের চলতে হবে।
তিনি বলেন, এখনো কেন সাংবাদিকতার বিকাশে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা হয়নি। সাবেক একজন তথ্যমন্ত্রী হিসেবেও আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে চাই এ আইন কার স্বার্থে এখনো বলবৎ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, দলের কঠিন দুঃসময়ে সাংবাদিকরা ছিলেন আমাদের অন্যতম ভরসা। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য জাতি জানতে পেরেছে। আগামীতেও সবসময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা বিএনপি পাবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ইফতার পার্টিতে আরো উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও দলের যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, মিডিয়ার সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ আলমগীর পাভেল ও বিএনপি নেত্রী শাম্মী আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি।