স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না : শফিকুল আলম

গত ১৬ বছরের শাসনামলে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্র।

ভবিষ্যতে সরকারগুলো যাতে কোনো অজুহাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই স্টারলিংককে বাংলাদেশে ডাকা হয়েছে

Alam
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম | ছবি - ইউএনবি

ভবিষ্যতে সরকারগুলো যাতে কোনো অজুহাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই স্টারলিংককে বাংলাদেশে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ মঙ্গলবার সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এমন কথা বলেন।

স্যাটেলাইটভিত্তিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের মালিক মার্কিন ধনকুবের ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগ ডিওজিই’রও প্রধান তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সরকারি খরচ কমাতে এই বিভাগটি চালু করেন ট্রাম্প।

শফিকুল আলম বলেন, ‘গত ১৬ বছরের শাসনামলে বিভিন্ন সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্র। বড় ধরনের প্রতিবাদ কিংবা বিরোধী দলীয় বিক্ষোভকারীদের ওপর ধরপাকড় চালাতে স্বৈরাচার ও একনায়কদের পছন্দের হাতিয়ার হচ্ছে ইন্টারনেট শাটডাউন।’

‘এতে দেশের হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সারকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। তাদের কেউ কেউ চিরতরে কাজ হারিয়ে ফেলেন,’ বলেন এই প্রেস সচিব।

তিনি আরো জানান, ‘বাংলাদেশে স্টারলিংকের আসার অর্থ হচ্ছে, ভবিষ্যতে কোনো সরকার ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারবে না। অন্তত নতুন কোনো ইন্টারনেট বন্ধের চেষ্টার আঘাত বিপিও ফার্ম, কল সেন্টার ও ফ্রিল্যান্সারদের ওপর আসবে না।’

এর আগে, ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সাথে ভিডিও কলে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ করা হয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা চালু করতে ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূস।

পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি মার্কিন এই ধনকুবেরকে চিঠি দেন তিনি। এতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমাদের যৌথ ভিশন বাস্তবায়নে চলুন আমরা একসাথে কাজ করি। বাংলাদেশে স্টারলিংকের সংযোগ দেয়া হলে তরুণ উদ্যোক্তা, গ্রামীণ অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ নারী এবং প্রত্যন্ত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ওপর যুগান্তকারী প্রভাব পড়বে।’

প্রযুক্তি খাতের ব্যক্তিরা বলছেন, স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। ফলে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে গ্রাম ও শহরের পার্থক্য ঘুচে যাবে। গ্রামে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিংসহ ইন্টারনেটভিত্তিক কাজ করতে পারবেন তরুণেরা। দুর্যোগের পর দ্রুত যোগাযোগ প্রতিস্থাপনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে স্টারলিংক।

সূত্র : ইউএনবি