সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া

আইনজীবী প্রতিনিধি রাখার দাবি বারের

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচারক নিয়োগের আইন করার যখন প্রস্তুতি চলছিল, তখন আইনজীবীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কিন্ত হঠাৎ করে যে আইনটা করেছে, সেটা ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
Untitled-1
ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন | নয়া দিগন্ত

সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলে’ আইনজীবী প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সুপ্রিম কোর্টে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের বিধান রেখে গত ২১ জানুয়ারি অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই ও সুপারিশ করার জন্য একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে, যার নাম হবে ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’। প্রধান বিচারপতি হবেন সাত সদস্যের এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট বারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, সহ-সভাপতি মো: হুমায়ুন কবির মঞ্জু, সরকার তাহমিনা বেগম সন্ধ্যা, কোষাধ্যক্ষ মো: রেজাউল করিম, সহ-সম্পাদক মো: আব্দুল করিম এবং সদস্য ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিচারক নিয়োগের আইন করার যখন প্রস্তুতি চলছিল, তখন আইনজীবীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কিন্ত হঠাৎ করে যে আইনটা করেছে, সেটা ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। আমরা আশা করেছিলাম যে একটি বৈষম্যবিরোধী আইন করা হবে। কিন্তু বৈষম্যমূলক আইন হয়েছে। (হাই কোর্টে) শেষ নিয়োগে দেখা গেছে, অনেকেই কোর্টে আসেননি বা ১২ থেকে ১৪ বছরে তেমন মামলাও করেননি; বিচারপতি হয়ে গেছেন। এটা কাম্য নয়।

তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম যে- সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনকে বা বার কাউন্সিলকে যদি সংযুক্ত করা হয়, তাহলে আমরা দেখাতে পারব যে- সে আসলে প্র্যাকটিস করে কি না এবং সেটাই আলোচনায় এসেছিল।

তিনি আরো বলেন, বিচারকরাও কিন্তু একটা দাবি জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি বরাবর। তারা ৭০ শতাংশ দাবি করেন। তারা দাবি কিভাবে জানাবেন? সিবিএ নাকি তারা? তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী; আমরা সেটার প্রতিবাদ করেছি। তারা এটা করতে পারেন না।

তিনি আরো বলেন, আমরা এটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ আইন সংশোধন করে ‍সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও বার কাউন্সিলের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানান তিনি।

একইসাথে তিনি হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে বিচারক স্বল্পতার প্রসঙ্গ টেনে দ্রুত বিচারক নিয়োগের দাবি জানান।