আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শনে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যতটুকু তাদের পক্ষে সম্ভব সহযোগিতা করতে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। তারা চান বাংলাদেশের মানুষের ন্যায় প্রাপ্তি নিশ্চিত হোক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘রাইট টু ফ্রিডম’ এর দুই প্রতিনিধি আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম ব্রায়ান্ট মাইলাম এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাবেক মার্কিন কূটনীতিবিদ জন এফ ড্যানিলোভিজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করে তার সাথে সাক্ষাত করেন।
ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তাদের সাথে আজ আমাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারা এ সময় জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিগত ১৫ বছরের সংঘটিত গুম, নির্যাতন, খুন ও হত্যার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য ও বিচারের কার্যপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যতটুকু তাদের পক্ষে সম্ভব সহযোগিতা করতে আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন। তারা চান বাংলাদেশের মানুষের ন্যায় প্রাপ্তি নিশ্চিত হোক।
তারা মনে করেন, বাংলাদেশের সরকারের উচিত অপরাধের বিচার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড যখন যেন কখনো পুনরাবৃত্তি হতে না পারে তা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেছেন, তারা মূলত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কেন এত প্রয়োজন সেটি নিরূপণ করতে এবং গ্রাউন্ড রিয়্যালিটির বাইরে ছড়ানো ভুয়া খবর প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সাথে তারা কাজ করবেন।
তিনি বলেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং বিগত ১৫ বছরের সংঘটিত সকল অপরাধের হোতা শেখ হাসিনাসহ তার সকল সহযোগীদের বিচারকার্য যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আমরা জাতি, এই দেশের নাগরিক ও ভুক্তভোগীদের কাছে দায়বদ্ধ।
উল্লেখ্য, আজ বেলা ১১টার দিকে উইলিয়াম বি মাইলাম ও জন এফ ড্যানিলোভিজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তারা ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের সাথে বৈঠক করেন। এই সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান।
বৈঠক শেষে বেলা ১২টার পরপর তারা ট্রাইব্যুনাল ত্যাগ করেন।
সূত্র : বাসস