ভিয়েনায় এশিয়ান ইসলামিক কমিউনিটির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
ইঞ্জিনিয়ার এম এ হাসিম বলেন, এশিয়ান ইসলামিক কমিউনিটি অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মসজিদ সমূহের একটি সংস্থা যা ফেডারেল চ্যান্সেলারি (বুন্ডেসকানসলারআমত) কর্তৃক অনুমোদিত এবং অস্ট্রিয়ান পাবলিক আইনের অধীনে একটি স্বাধীন কর্পোরেশন।

ইসলামিক রিলিজিয়াস অথরিটি ইন অস্ট্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ‘এশিয়ান ইসলামিক কমিউনিটি’-এর উদ্যোগে ভিয়েনার ২৩নং ডিস্ট্রিক্টে লাক্সারিয়াস এটাপ সেন্টারে গতকাল মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

আফগান বংশোদ্ভুত অস্ট্রিয়ান তরুণের সঞ্চালনায় ও ব্রিটিশ তরুণ হাফেজ সামির গাফারির কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ইফতার মাহফিলটি শুরু হয়।
‘এশিয়ান ইসলামিক কমিউনিটি’র চেয়ারম্যান ও ইসলামিক রিলিজিয়াস অথরিটি ইন অস্ট্রিয়ার সুপ্রিম কাউন্সিল মেম্বার ইঞ্জিনিয়ার এম এ হাসিমের সভাপতিত্বে মাহফিলে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন ইসলামিক রিলিজিয়াস অথরিটি ইন অস্ট্রিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট বসনিয়ান বংশোদ্ভুত অস্ট্রিয়ান প্রফেসর আদিস সান্ডিস, ভিয়েনার পার্লামেন্ট মেম্বার ও ভিয়েনার মেয়র ড. মিকায়েল লুডভিগের প্রতিনিধি ইরাকি বংশোদ্ভুত অস্ট্রিয়ান ডিপ.ইঞ্জিনিয়ার ওমর আল রাবী, ভিয়েনাস্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি তানভীর আহমেদ তরপদার।

স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার এম এ হাসিম বলেন, এশিয়ান ইসলামিক কমিউনিটি অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মসজিদ সমূহের একটি সংস্থা যা ফেডারেল চ্যান্সেলারি (বুন্ডেসকানসলারআমত) কর্তৃক অনুমোদিত এবং অস্ট্রিয়ান পাবলিক আইনের অধীনে একটি স্বাধীন কর্পোরেশন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অস্ট্রিয়ায় মুসলমানদের আইনি মর্যাদা অনন্য। সমগ্র ইউরোপের মধ্যে অস্ট্রিয়া একটি ইউনিক কান্ট্রি যেখানে ১৯১২ সাল থেকে ইসলাম সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। ১৯৭৯ সালে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথরিটি ইন অস্ট্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়। সকল মুসলমানদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সংস্থাটি অস্ট্রিয়ান সরকারের সাথে কাজ করে। অস্ট্রিয়ান সরকার অস্ট্রিয়ার প্রতিটি স্কুলে ইসলামিক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন সরকারি অর্থায়নে। টার্কিশ, বসনিয়ান, আরবিয়ান, আলবেনিয়ান, আফ্রিকান ও এশিয়ানদের দশটি ইসলামিক কমিউনিটির আমব্রেলা অর্গানিজশন হচ্ছে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথরিটি ইন অস্ট্রিয়া। এশিয়ানদের সংস্থাটির নাম হচ্ছে এশিয়ান ইসলামিক কমিউনিটি।

রমজানের গুরুত্বের উপর আলোচনা করতে গিয়ে হাসিম গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি, ট্র্যাজেডি তথা ফিলিস্তিনের মানবিক সংকটের উপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রধান করেন।
এশিয়ান ইসলামিক কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ এই মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন টার্কিশ দূতাবাসের কনস্যুলার সেলাহাদ্দিন সেলেবি, সৌদি সরকার পরিচালিত ভিয়েনা ইসলামিক সেন্টারের ডাইরেক্টর ডক্টর মফারেহ, টার্কিশদের চারটি সর্ববৃহৎ ইসলামিক কমুনিটির সভাপতি সেক্রেটারিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বসনিয়ান, আরাবিয়ান, আলবেনিয়ান ইসলামিক কমুনিটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ভিয়েনাস্থ জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত মুসলিম ডিপ্লোম্যাট এবং সায়েন্টিস্টগণ।

তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহ যথা উইগোরিয়ান চাইনিজ, মিয়ানমার, আরাকান, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের মুসলিম কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশী কমিনিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েনা মুসলিম সেন্টার ও মাসজিদুল ফালাহর নেতৃবৃন্দ মাহেরুল হক শামীম, মোরাদুল আলম, মহিউদ্দিন আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আলম, কবির আহমেদ,মনজুরুল হাসান, সায়েদুর রহমান বকুল, মাহবুবুল ইসলাম, ইকবাল মুস্তারী, আক্তারুজ্জামান শিবলী, নাজমুল আরিফিন সহ প্রায় ২০০ মুসলিম নেতৃস্থানীয় লোক।