মালয়েশিয়া পাসপোর্ট ও ভিসা জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্য আটকসহ ৪০০ বাংলাদেশী পাসপোর্ট উদ্ধার
অভিযানে আটকদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী নাগরিককে এই অবৈধ কার্যক্রমের মূল হোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শাহ আলম, আমপাং এবং কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের বিশেষ অভিযানে ছয়জন বিদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা অবৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট জালিয়াতির সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়েছে। এ সময় পাসপোর্ট ও ভিসা জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত বাংলাদেশী ৩৯৪টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
অভিযানের সময়, মোট ৪১২টি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৯৪টি বাংলাদেশী, ছয়টি ইন্দোনেশিয়ান, দুটি ভারতীয়, নয়টি পাকিস্তানি এবং একটি ফিলিপাইনের পাসপোর্ট রয়েছে। এছাড়াও, তিনটি মোবাইল ফোন, কোম্পানির স্ট্যাম্প, নগদ ১২ হাজার ৫৫০ রিংগিত এবং একটি হোন্ডা ইনসাইট হাইব্রিড গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এই চক্রটি অবৈধভাবে ভিসা নবায়ন করতে প্রতি বছরের জন্য চার থেকে ছয় হাজার রিংগিত নিত।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাহবান জানান, সকাল ১১টা ৫ মিনিটে শুরু হওয়া এই অভিযানটি তিন সপ্তাহ ধরে চলা গোয়েন্দা তদন্ত এবং জনসাধারণের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। অভিযানে আটকদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী নাগরিককে এই অবৈধ কার্যক্রমের মূল হোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই অবৈধ জালিয়াতি চক্রের কার্যক্রম সম্পর্কে জাকারিয়া শাহবান বলেন, কোম্পানিটি গত এক বছর ধরে অবৈধভাবে বিদেশী শ্রমিক সরবরাহ করে আসছিল। তারা মালয়েশিয়ার ‘কলিং ভিসা’ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশী কর্মীদের নিয়ে আসত এবং এমন সব নিয়োগকর্তার কাছে সরবরাহ করত, যারা বিদেশী কর্মীর অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত ছিল। প্রতিজন শ্রমিকের জন্য তারা আট হাজার রিংগিত চার্জ করত।
গ্রেফতারদের আরো তদন্তের জন্য পুত্রজায়ার অভিবাসন দফতরে নেয়া হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের অভিবাসন আইন, ১৯৬৩ সালের অভিবাসন বিধি, ১৯৬৬ সালের পাসপোর্ট আইন এবং ২০০৭ সালের মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিরোধী আইনের অধীনে মামলা করা হয়েছে।