হাবিপ্রবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণইফতার
‘এই গণইফতার সামাজিক ও ধর্মীয় একতা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। গণইফতার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে।’

মো: রাফিউল হুদা, হাবিপ্রবি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও গণইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নুর হোসেন হল মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারাসহ আনুমানিক ৩০০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই গণইফতার উপলক্ষে আসরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নুর হোসেন হল মাঠে শিক্ষার্থীদের ঢল নামতে শুরু করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে নুর হোসেন মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন। ইফতারে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্দার ব্যবস্থা থাকায় নারী শিক্ষার্থীদেরও উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ইফতারের আগে সাওমের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।
গণইফতারের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাবিপ্রবি শাখার আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, ‘আমরা জুলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া ও গণইফতারের আয়োজন করেছি। আর এই গণইফতারে স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জুলাই বিপ্লবকে সমর্থন জানিয়েছেন বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘এই গণইফতার সামাজিক ও ধর্মীয় একতা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। গণইফতার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করবে। এ ধরনের আয়োজন শুধু ইফতার ভাগাভাগির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ক্যাম্পাসে পারস্পরিক সহমর্মিতা, ঐক্য ও একসাথে চলার মানসিকতাকে উৎসাহিত করে। আর এই সহমর্মিতা, ঐক্য ও একসাথে চলার নীতি নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চাই।’