৫ বছর কারাগারে

খুবির ২ শিক্ষার্থীকে ঈদের আগে মুক্তির দাবি

`২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয় অনিক ও রাফি। অনিক ওই দিন সকালে রুমে ঘুমিয়ে ছিল। হলের অফিস ক্লার্ক এনামুলকে দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে গল্লামারী ঘোষ ডেয়ারির সামনে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। আর রাফিকে গ্রেফতার করে তার ভাড়া বাসা থেকে, যেখানে তিনি স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। তাদের ১৭ দিন গুম করে রেখে ২৫ জানুয়ারি আদালতে তোলে পুলিশ।'

ku
ছবি : নয়া দিগন্ত

খুলনা ব্যুরো

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মাদ অনিক এবং পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচের মো: মোজাহিদুল ইসলাম রাফি দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও অধিক সময় ধরে জঙ্গি সন্দেহে কারাবন্দি রয়েছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে খুবির হাদী চত্বরে ঈদের আগে তাদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয় অনিক ও রাফি। অনিক ওই দিন সকালে রুমে ঘুমিয়ে ছিল। হলের অফিস ক্লার্ক এনামুলকে দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে গল্লামারী ঘোষ ডেয়ারির সামনে নিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। আর রাফিকে গ্রেফতার করে তার ভাড়া বাসা থেকে, যেখানে তিনি স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। তাদের ১৭ দিন গুম করে রেখে ২৫ জানুয়ারি আদালতে তোলে পুলিশ।

এর মধ্যে প্রশাসন জঙ্গি নাটকের স্ক্রিপ্ট সাজিয়ে একে একে সাতটি মামলা দেয় তাদের নামে। যার মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনা। অথচ ওই সময় খুলনার কোথাও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষিত তরুণদের কণ্ঠ রোধ করতে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়ে নিরীহদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর গত সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে অনিক ও রাফি কারাগারে অনশন করেন। কিন্তু তাতেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্যায়ভাবে ওদের ছাত্রত্ব স্থগিত করে। তাদেরকে কোনোরকমের আইনি সহযোগিতা করিনি। সে সময় প্রশাসনের যারা এ কাজে জড়িত ছিলেন তাদের বিচার করতে হবে। আমরা চাই বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের মুক্তির বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। পাশাপাশি তাদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিবে। অন্যথায় দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

এ সময় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: রেজাউল করিম।

এছাড়া কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: নূরুন্নবী, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের ডিন প্রফেসর ড. মো: নুর আলম, প্রধান প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, ইংরেজি ডিসি্ডিসিপ্লিনের প্রফেসর সামিউল হক, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (এইচআরএম) ডিসিপ্লিনের শিক্ষক মেহেদী হাসান, মানব সম্পদ ডিসিপ্লিনের ১৭ ব্যাচ-এর শিক্ষার্থী আহমাদ উল্লাহ স্বাধীন, ১৮ ব্যাচের মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ, ইংরেজি ডিসিপ্লিন-এর ১৭ ব্যাচের টিপু তমিজ প্রমুখ।