স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
গাম্বিয়ার সাথে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে
তিনি বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে, আমরা আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর করার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এবং গাম্বিয়ার মধ্যে এই ভিসা অব্যাহতি চুক্তি আমাদের সরকারগুলোর মধ্যে আরো অর্থবহ যোগাযোগ সহজ করবে, কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে চুক্তিসই অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের জন্য একটি বিশেষ মুহূর্ত। এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব জোরদার করার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার নৈতিক অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সংহতির জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। ওআইসির সমর্থনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গাম্বিয়ার নেতৃত্ব আমাদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছে। এই সাহসী পদক্ষেপ ও মানবাধিকার রক্ষায় তাদের অঙ্গীকার আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করেছে, আর আজকের এই চুক্তি সই আমাদের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের আরেকটি মাইলফলক।
তিনি বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে, আমরা আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর করার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। আমাদের প্রত্যাশা, এই ভিসা অব্যাহতি চুক্তি আমাদের সরকারগুলোর মধ্যে আরো অর্থবহ যোগাযোগ সহজ করবে, কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে। তৈরি পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিং, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইটি-সংশ্লিষ্ট সেবা এবং ওষুধশিল্প- এসব খাতে সহযোগিতার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দু’টি দেশ হিসেবে, যেখানে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি কৃষির ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, আমরা একসাথে কাজ করতে পারি সহনশীলতা বৃদ্ধির জন্য এবং টেকসই কৃষি পদ্ধতি প্রচারের লক্ষ্যে। আমাদের উচিত এই কূটনৈতিক সদিচ্ছাকে ব্যবসা-বাণিজ্যিক যোগাযোগে রূপান্তর করা, যাতে আমাদের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হয়।
তিনি আরো বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু টাঙ্গারাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের অংশীদারত্ব শক্তিশালী করতে তার আগ্রহ এবং এই চুক্তিকে বাস্তবায়িত করার জন্য। একইসাথে, আমি উভয়পক্ষের নিবেদিতপ্রাণ দলগুলোর প্রতিও কৃতজ্ঞ, যাদের কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিশ্রুতি এই চুক্তি সইকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়ক হয়েছে। আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে আরো নিবিড় সহযোগিতার প্রত্যাশা করি।
সূত্র : ইউএনবি