সুন্দরগঞ্জে জামায়াতকর্মী হত্যা : কৃষকলীগ নেতাসহ কারাগারে ৪

গাইবান্ধায় জামায়াতকর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলায় উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক আল রোহানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Jailed
সুন্দরগঞ্জে জামায়াতকর্মী হত্যা মামলায় কৃষকলীগ নেতাসহ কারাগারে ৪ | নয়া দিগন্ত

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জামায়াতকর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলায় উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক আল রোহানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার (৯ মার্চ) দুপুরে আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- কৃষকলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক আল রোহান উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামের আবু তালেব মেম্বারের ছেলে। বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এবং বামনডাঙ্গা হাজীগ্রামের মমতাজ আলীর ছেলে মুশফিকুল হাসান পিয়াল (৩৫), একই ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের অতুল কুমার চাকীর ছেলে পরিতোষ কুমার চাকী ও বামনডাঙ্গা হলমোড় এলাকার মরহুম আজহার আলী রেনুর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম রাজু (৩৫)।

এর আগে গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: রেজাউল করিম জামিন আবেদন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মোশারফ হোসেন জাহাঙ্গীর।

তিনি বলেন, ‘জামায়াতকর্মী শাহাবুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি আব্দুর রাজ্জাক আল রোহান, মুশফিকুল হাসান পিয়াল, পরিতোষ কুমার চাকী ও তৌহিদুল ইসলাম রাজু হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে আসেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা রোববার গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য আত্মসমর্পন করেন। তবে বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জামায়াতকর্মী শাহাবুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১০ বছর পর নিহতের ছোট ভাই এস এম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনের নামে মামলা করেন।