কামাল ইবনে ইউসুফের সহধর্মিণী চৌধুরী শায়লা কামাল আর নেই

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সহধর্মিণী চৌধুরী শায়লা কামাল ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

বুধবার (১২ মার্চ) ভোররাত ৫টা ৩০ মিনিটে তিনি ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

সকালে ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ ফরিদপুরে নিয়ে আসা হচ্ছে। বাদ আসর কমলাপুর ময়েজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে ময়েজমঞ্জিলে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুম কামাল ইবনে ইউসুফের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ও তার স্ত্রী চৌধুরী শায়লা কামাল দু’জনই ছিলেন শরিয়তপুরের পীর দুদু মিয়ার নাতনি। তারা সম্পর্কে ছিলেন খালাতো ভাই-বোন। শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জের কার্তিকপুরের জমিদার বাড়ির সন্তান মরহুম নিজামউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর মেঝো মেয়ে ছিলেন শায়লা চৌধুরী। ১৯৬৯ সালে ফরিদপুরের আরেক জমিদার ইউসুফ আলী চৌধুরী মোহন মিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। চার মেয়ের জনক-জননী তারা। তাদের জ্যেষ্ঠ মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার আহ্বায়ক।

এদিকে, শায়লা কামালের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব একে কিবরিয়া স্বপন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ফরিদপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এ ফ এম কাইয়ুম জঙ্গি, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু, ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।