মুয়াজ্জিনের পায়ে গুলি
কুমিল্লায় ওসিসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার আইনজীবী বদিউল আলম সুজন জানান, নির্যাতন ও হেফাজতের মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নির্দেশনা দিবেন।

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় বাড়ি থেকে ধরে এনে পায়ে গুলি করায় পঙ্গু হওয়ার অভিযোগে নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলামসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মসজিদের মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন।
বুধবার (১২ মার্চ) জেলা ও দায়রা আদালতে তিনি এ মামলা করেন। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাড় ইউনিয়নের বাম গ্রামের পন্ডিত বাড়ি এলাকার আলী হায়দারের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী মুয়াজ্জিন বেলাল হোসেন জানান, ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে নাঙ্গলকোটে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় বেলায়েত হোসেন নামে আরো একজনকেও সাথে নিয়ে নাঙ্গলকোটের লুধুয়া এলাকায় নিয়ে নাঙ্গলকোট থানার তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলাম দু’জন পুলিশ সদস্যকে পায়ে গুলি করতে বলেন। তারা গুলি করতে রাজি না হলে ওসি নজরুল ইসলাম নিজেই আমাদের দু’জনকে বাম পায়ের হাঁটু বরাবর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ মামলায় এক বছর কারা ভোগ করতে হয়েছে।
মুয়াজ্জিন বেলাল আরো বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকাকালীন উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে ঢাকা পাঠানোর জন্য বলা হলেও ওসি নজরুল ইসলাম যেতে দেননি। যে কারণে চিকিৎসার অভাবে আমার পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ ও মিথ্যা মামলা করে যে নির্যাতন চালানো হয়েছে তার প্রেক্ষিতে আমি তৎকালীন ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের সাত সদস্য, নাঙ্গলকোট উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান ও তৎকালীন পৌরসভার মেয়রসহ মোট ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছি। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।
মামলার আইনজীবী বদিউল আলম সুজন জানান, নির্যাতন ও হেফাজতের মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলাটি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নির্দেশনা দিবেন।