গড়াই নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে কুমির, আতঙ্কে জেলেরা
ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে দেখা মিলেছে মিঠাপানির কুমির। প্রায় প্রতিদিন একাধিক কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে নদীটিতে। এদিকে কুমির দেখতে আশপাশের গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন নদীতে। তবে আতঙ্কে রয়েছেন জেলেরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীতে দেখা মিলেছে মিঠাপানির কুমির। প্রায় প্রতিদিন একাধিক কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে নদীটিতে। এদিকে কুমির দেখতে আশপাশের গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছেন নদীতে। তবে আতঙ্কে রয়েছেন জেলেরা।
তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, এখানে ভালো পরিবেশ পাওয়ায় কুমির বংশবিস্তারসহ বসবাস করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শৈলকুপার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া অংশে এসব কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে।
খুলুমবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী রহমতউল্লাহ জানান, সোমবার সকালে খুলুমবাড়ী ও পাংশার কেওয়া গ্রামের অংশে গড়াই নদীতে কুমির ভেসে ওঠে এমন সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন এলাকার ছেলে-মেয়ে ও বয়স্ক ব্যক্তিরা নদীপাড়ে ভিড় জমিয়েছেন। অনেকে ড্রোন ক্যামেরা নিয়ে এসে নদীর মাঝে ভেসে ওঠা কুমিরের ভিডিও করেছেন।
একই গ্রামের রত্না সর্মা বলেন, ‘অনেক দিন ধরে কুমির দেখার সংবাদ শুনছি। তাই আজ কুমির দেখতে এসেছি। তবে চোখে দেখতে না পারলেও ড্রোন ক্যামেরায় দেখেছি।’
মাদলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এখানে কুমিরগুলো দেখা যাচ্ছে। বড় কুমির ছাড়াও তার সাথে ছোট ছোট বাচ্চা আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নদীর এই স্থানে প্রচুর মাছ হয়। এ কারণে হয়তো কুমিরগুলো এখানে স্থায়ীভাবে ঘাঁটি করেছে। এছাড়া নদীতে প্রতিদিন শত শত মানুষ গোসল করেন ও মাছ ধরেন। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’
তবে ঝিনাইদহ বন বিভাগের জোনাল অফিসার খোন্দকার গিয়াস উদ্দীন মুকুল বলেন, ‘গড়াই নদীতে কুমির দেখার খবরটি জানতে পেরেছি। এটা পরিবেশের জন্য একটা ভালো খবর। নদীতে কুমির থাকবে, মাছ থাকবে, জীববৈচিত্রের আরো অনেক কিছুই থাকবে। এটা আগে ছিল। আমরা আশা করি নদী আগের রূপে ফিরে আসুক।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে হয়তো কুমিরগুলো এসেছিল। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় তারা যায়নি, স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। শুনছি বাচ্চাও দিয়েছে।’
কুমিরগুলোকে উত্যক্ত বা আঘাত না করার পরামর্শও দিয়েছেন এ বন কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন, ‘গড়াই নদীর খুলুমবাড়িয়া খেয়া ঘাটে কুমির ভেসে বেড়াচ্ছে এমন সংবাদ লোকমুখে শুনেছি। তবে কুমিরগুলোকে উত্যক্ত না করার জন্য লোকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে।’