শরীয়তপুরে পদ্মায় বাল্কহেড ডুবি : নিখোঁজ ২

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় জাহাজের দু’জন স্টাফ নিখোঁজ রয়েছেন।

111
পদ্মায় বাল্কহেড ডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ চলছে | নয়া দিগন্ত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে নোংগর করা একটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় জাহাজে ঘুমিয়ে থাকা দু’জন স্টাফ নিখোঁজ রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার মুলফৎগঞ্জ হাসপাতাল সংলগ্ন সাধুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ দু’জন স্টাফের মধ্যে একজন নড়িয়া আল আমিন এবং অপরজন পিরোপুরের আরিফ।

বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল বাল্কহেড ও নিখোঁজ দু’জনকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে।

নড়িয়া ফায়ার স্টেশনের লিডার রওশন জামিল জানিয়েছেন, নদীতে পানির গভীরতা বেশী হওয়ায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

নড়িয়া থানা ও ফায়ার স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বালুভর্তি একটি বাল্কহেড নড়িয়া উপজেলার মুলফৎগঞ্জ হাসপাতাল সংলগ্ন সাধুর বাজার এলাকায় পদ্মা নদীতে নোংগর করে বাল্কহেডের স্টাফ নড়িয়ার আল আমিন ও পিরোজপুরের আরিফ তারাবির নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে তারা দু’জনেই বাল্কহেডের কেবিনে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত পৌনে ১২টার দিকে এক মিনিটের মধ্যে হঠাৎ বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এর পর আজ সকাল থেকে নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড, নড়িয়া ও মাদারীপুর ফায়ায় সার্ভিস ডুবুরি দল বাল্কহেডটি উদ্ধার কাজ শুরু করলেও নদীতে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোনো কূল কিনারা করতে পারেনি তারা।

বিকেল ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়াটারের ডুবুরিদল পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নিখোঁজ আল আমিনের মামা হোসেন মাঝি জানায়, আমার ভাগ্নে দু’মাস ধরে এই বাল্কহেডে কাজ করে। কাল রাতে নদীতে বাল্কহেডটি নোংগর করে কেবিনে আল আমিন ও পিরোপুরের আরিফ ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ করে বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ায় কেউ বের হতে পারেনি।

নড়িয়া ফায়ায় সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার রওশন জামিল বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকেই কোস্ট গার্ড ও মাদারীপুর ফায়ায় সার্ভিস ডুবুরি দল নিখোঁজ দু’জন ও বাল্কহেডটি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নদীর গভীরতা ১২০ ফুটের বেশি। গভীরে যেতে যেতে অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। তাই উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। বিকেল ৫টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়াটারের ডুবুরিদল পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘উদ্ধার কাজে নৌ-পুলিশ ও নড়িয়া থানা পুলিশ সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়া স্থানে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।’