ঠাকুরগাঁও হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশুকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার, গ্রেফতার ৪
র্যাবের এ কর্মকতা আরো জানান, এরপর ছায়া তদন্তের মাধ্যমে র্যাব-১-এর সহযোগিতায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বুধবার (১২ মার্চ) বেলা পৌনে ২টার দিকে গাজিপুরের শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার এবং চুরি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

রংপুর ব্যুরো
ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে থেকে চুরি হওয়া আড়াই মাসের শিশুকে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (রংপুর র্যাব-১৩)। এ ঘটনায় জড়িত শিশু চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে র্যাব-১৩ রংপুরের সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো: সাইফুল্লাহ নাঈম।
তিনি বলেন, গত ৯ মার্চ দুপুর ২টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভুল্লী থানার খলিসাকুড়ী মুজাবল্লী গ্রামের শিমুল ইসলাম ও হাসি আক্তারের দু’মাস ১৭ দিন বয়সী কন্যা সায়ান আহমেদকে নিউমোনিয়াজনিত রোগে ভর্তি করান। হাসপাতালে শিশুটির নানি পারভীন বেগমের পাশাপাশি সোনালী আক্তার শিরিন (২০) নামের এক অপরিচিত নারীও সেবাযত্ন করছিলেন। ১০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিশুটির মা হাসি আক্তার ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় শিশু বাচ্চাটিকে ওই মহিলাকে দিয়ে যান। ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে হাসি আক্তার দেখেন তার শিশুটিসহ ওই বাচ্চাটি উধাও। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা এবং র্যাব সিপিসি-১-এর দিনাজপুর কমান্ডারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
র্যাবের এ কর্মকতা আরো জানান, এরপর ছায়া তদন্তের মাধ্যমে র্যাব-১-এর সহযোগিতায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বুধবার (১২ মার্চ) বেলা পৌনে ২টার দিকে গাজিপুরের শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার এবং চুরি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নুলতলা বড়বাড়ি এলাকার সামছুদ্দিনের স্ত্রী সোনালী আক্তার শিরিন (২০), একই এলাকার মো: সানোয়ার মিয়ার ছেলে মো: রাজু কবিরাজ (২২), নেত্রোকোনার কমলাকান্দা উপজেলার চকপাড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে মো: লিটন মিয়া (৩৫) এবং একই এলাকার লিটন মিয়ার স্ত্রী মোছা: লাভলী বেগম (৩৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও চারটি মোবাইল ও উদ্ধার করা হয়।’
র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, ‘এ চারজন শিশু চুরি সিন্ডিকেটেরে সাথে জড়িত। এভাবে শিশু চুরির পর তারা সেগুলো বিক্রি করে দিত। এর মূলহোতা হিসেবে কাজ করত সোনালী।’