স্ত্রী ও সন্তানের পর মৃত্যু হলো সোহাগেরও

নারায়ণগঞ্জে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় স্ত্রী ও সন্তানের পর সোহাগ নামের আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো চারজনে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সোহাগের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা: শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, সোমবার রাত দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সোহাগ মারা যায়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

জানা যায়, সোহাগ পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে শনিবার (৮ মার্চ) নিহত সোহাগের দেড় বছরের শিশুকন্যা সুমাইয়া এবং ৯ মার্চ স্ত্রী রূপালী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শনিবার একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো মারা যান রিকশাচালক মো. হান্নান (৪০)।

শিশু সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ, রূপালির ৩৪ শতাংশ ও হান্নানের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। আগুনে তাদের শ্বাসনালি পুড়ে গিয়েছিল।

এর আগে গত ৩ মার্চ রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনসেড বাসার দু'টি কক্ষে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের পর আগুনে দুই পরিবারের নারী ও শিশুসহ আটজন দগ্ধ হন।

এ ঘটনায় নিহত হান্নানের স্ত্রী পোশাকশ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬), আরেক পরিবারের নিহত রূপালীর স্বামী পোশাকশ্রমিক সোহাগ (২৩) এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, নুরজাহান লাকির ২২ শতাংশ, সামিয়ার ৯ শতাংশ ও জান্নাতের ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়।

গত সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনসেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং এর থেকে ঘরের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যেকোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সাথে সাথে বিস্ফোরণ ঘটে এবং অগ্নিকাণ্ড ঘটে।