চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ
রংপুরে আদালতে বিক্ষোভ, আসামির আগাম জামিন নামঞ্জুর
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিঠাপুকুরের রতিয়া গ্রামে রুহুল আমিনের বাগানে ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর পিতা।
স্থান
রংপুর

আত্মসমর্পন করে আগাম জামিন নিতে এসে কারাবন্দি হয়েছেন রংপুরের মিঠাপুকুরের চাঞ্ছল্যকর চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামি রুহুল আমীন। এদিকে রুহুল আমীনের ফাঁসি ও তার পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেয়া আইনজীবির সনদ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে তিনি রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (মিঠাপুকুর) আদালতে আত্মসমর্পন করে আগাম জামিন প্রার্থনা করেন। আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রংপুর আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিঠাপুকুরের রতিয়া গ্রামে রুহুল আমিনের বাগানে ফুল সংগ্রহ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই ছাত্রীর পিতা। ওই মামলায় আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ দিকে রুহুল আমীনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেয়া আইনজীবী ফিরোজ কবির নিলয় বার কাউন্সিলের সনদ বাতিল এবং রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। পরে সেখানে উপস্থিত হন বার সমিতির সভাপতি সায়েদ কামাল ইবনে খতিব।
তিনি বিক্ষোভকারীদের বলেন, একজন আইনজীবি যেকোনো আসামির পক্ষে লড়তে পারেন। আপনারা সনদ বাতিল চাওয়ার কে। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভকারীরা তার বক্তব্যের বিরোধীতা করেন। বিক্ষোভকারীরা সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি। ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে যারা মামলা লড়ছেন। তারা ধর্ষণকে উৎসাহিত করছেন। আমার অধিকার রক্ষার দাবি করা আমার সাংবিধানিক অধিকার।
অন্যদিকে জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা। তিনি আসামির ফাঁসি দাবি করেছেন।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা ও মহানগর সংগঠক শেখ রেজওয়ান জানান, আইনজীবী ফিরোজ কবির নিলয় ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে আদালতে লড়ছেন। আমরা তার সনদ বাতিল চাই।
আইনজীবী রসমিতির সভাপতি সায়েদ কামাল ইবনে খতিব বলেন, যে কেউ বাদি বিবাদীর পক্ষে লড়তে পারেন। এক্ষেত্রে তার সনদ বাতিল চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। এ জঘন্যকাণ্ডের সুবিচার নিশ্চিত হোক। এটা আমরা চাই।