আড়াইহাজারে ধর্ষণের পর ভিডিও প্রচার, ধর্ষক গ্রেফতার

২০২৪ সালে পারিবারিক কলহের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাদির স্বামীকে প্রধান আসামি করে ভয়ভীতি দেখায় আসামি জালাল। এসময় মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোনে কথা বলার প্রস্তাব দেয়া হয়। ফোনে কথা বলতে বলতে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
Araihazar
মো: জালাল হোসেন | সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর তার ভিডিও প্রচার করার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১২ মার্চ) রাতে ওই গৃহবধূ (৩৫) মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন— আড়াইহাজারের সাতগাঁও ইউনিয়নের সখেরগাওঁ গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো: জালাল হোসেন (৪০), সেলিম (৪২) ও জামালের ছেলে মো: সোহেল (৩৫)।

পুলিশ প্রধান আসামি জালাল হোসেনকে আটক করেছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, আসামি জালাল বাদির স্বামীর চাচাত ভাই। ২০২৪ সালে পারিবারিক কলহের ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় দায়েরকৃত মামলায় বাদির স্বামীকে প্রধান আসামি করে ভয়ভীতি দেখায় আসামি জালাল। এসময় মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোনে কথা বলার প্রস্তাব দেয়া হয়। ফোনে কথা বলতে বলতে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।

ঘটনার এক পর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফাঁকা পেয়ে বাদিকে ধর্ষণ করেন জালাল। পরবর্তী সময়ে আবারো মামলা খারিজের কথা বলে নরসিংদীর একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং পুনরায় ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিও বাকি আসামিদের সরবরাহ করে এবং তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে থাকে। পাশাপাশি বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করে। এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে পুনরায় বাদিকে ধর্ষণ করে আসামি। এক পর্যায়ে এ ঘটনায় কোনো মামলা না করার শর্তে স্ট্যাম্প পেপারে বাদির স্বাক্ষর করিয়ে নেয় আসামিরা। পরে আবারো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি প্রচার করতে থাকলে থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বৃহস্পতিবার জানান, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামি জালালকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।