এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার দাবিতে মিরসরাইয়ে মৌন মিছিল
নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার তালিকার অংশ জাতীয় পরিচয়পত্র স্থানান্তর করা হলে ভোটার নিবন্ধনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং ইসির ডাটাবেজ অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে জনগণের তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হবে।

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নিজেদের অধীনে রাখতে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌন মিছিল করেছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয়ের সামনে এ মৌন মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘২০০৭ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় একটি নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয়। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ১২ কোটি ৫০ লাখ ভোটারযোগ্য নাগরিকের তথ্য রয়েছে। উক্ত তথ্যের উপজাত হিসেবে নাগরিকের সুবিধার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে।’
‘সাংবিধানিক ম্যান্ডেট অনুসারে ভোটার তালিকা প্রণয়ন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। ভোটার তালিকার উপজাত হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করায় ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই, নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটার তালিকার অংশ জাতীয় পরিচয়পত্র স্থানান্তর করা হলে ভোটার নিবন্ধনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং ইসির ডাটাবেজ অন্যত্র স্থানান্তর করা হলে জনগণের তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা ক্ষুন্ন হবে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ২০২৩ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল করে ভোটার তালিকা ডাটাবেজ এবং এ সংশ্লিষ্ট এনআইডি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।’
এ আলোচনা সভা ও মৌন মিছিলে মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনসহ উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন।