শৈলকূপায় দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবী নিহত

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় মানসিক ভারসাম্যহীন দেবরের লাঠির আঘাতে ভাবি রেশমা খাতুনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে, সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার রতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত দেবর নাহিদ জোয়াদ্দার ওই গ্রামের মনোয়ার হোসেন জর্দারের ছেলে বলে জানা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় নাহিদ জোয়াদ্দার তার বড় ভাই হামিদের স্ত্রী রেশমা খাতুনকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। লাঠির আঘাতে রেশমা খাতুন গুরুতর আহত হন। পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে আজ দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে স্থানীয় জাফার আলী মেম্বর নামের এক ব্যক্তি জানান, মনোয়ার হোসেন জর্দারের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে নাহিদ জোয়াদ্দার তার ভাবিকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে, তবে কী কারণে করেছে এটা জানি না। আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ কুষ্টিয়া হাসপাতালে মারা গেছে বলে শুনেছি।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, এই ঘটনার সাথে জড়িত নাহিদ পলাতক রয়েছেন, তবে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন আমরা তাকে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করেছি।