মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের আট দিনের মাথায় মৃত্যুর খবরে শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম।

Asia
আছিয়ার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন | নয়া দিগন্ত

শ্রীপুর (মাগুরা) সংবাদদাতা

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের আট দিনের মাথায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার নিজ বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম। এসময় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এ ধর্ষণের আসামিদের ফাঁসি দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার বিকেলে জারিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আছিয়ার মানসিক প্রতিবন্ধী পিতা ফেরদৌস শেখ বাকরুদ্ধ অবস্থায় বাড়ির সামনে চেয়ারে বসে রয়েছেন। এ সময় আছিয়ার খালা রোকসানা বেগম, ফুফু মমতা বেগম, আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যরাসহ প্রতিবেশীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেখানে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এলাকার মানুষের পাশাপাশি আশপাশ থেকে এলকাবাসী ছুটে আসে আছিয়াকে এক নজর শেষবারের মতো দেখার জন্য। এ সময় তারা আছিয়ার হত্যা ও ধর্ষণের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

এদিকে আছিয়ার মৃত্যুর খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা শহরের ভায়না মোড় এলকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়।

এর আগে দুপুর একটার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছিয়ার মৃত্যু হয়।

বিকেল পাঁচটার দিকে তার লাশ হেলিকপ্টার যোগে মাগুরায় আনা হচ্ছে জেনে মাগুরা জেলা প্রশাসন ও শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাগুরার নোমানী ময়দান ও শ্রীপুর মিনি স্টেডিয়াম হেলিকপ্টার নামার জন্য প্রস্তুত করেন।

পরে লাশ বহনকারী হেলিকপ্টারটি মাগুরা নোমানী ময়দানে অবতরণ করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে নোমানী ময়দানে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ জনতা ধর্ষকদের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

পরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তার লাশ নিজ গ্রামের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আনা হয়। তারাবীর নামাজের পর সোনাইকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে সোনাইকুন্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।